বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা এবং পরিবর্তিত জীবনধারার কারণে স্ট্রোক বিশ্বব্যাপী একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।যদিও স্ট্রোক সাধারণত বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ঘটে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক যুবকও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে।বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে তরুণদেরও স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত যাতে তারা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।
আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের সাধারণ ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতা, ধূমপান এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার।এছাড়াও, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতা, যা তরুণদের মধ্যে প্রচলিত, তাও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে তরুণদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, ধূমপান ত্যাগ করা এবং মাদকের অপব্যবহার এড়ানো।তরুণদেরও তাদের রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
এছাড়াও, অল্পবয়স্কদের জন্য স্ট্রোকের সতর্কতা লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া অপরিহার্য, যার মধ্যে রয়েছে মুখ, বাহু বা পায়ে হঠাৎ অসাড়তা বা দুর্বলতা, হঠাৎ বিভ্রান্তি বা কথা বলতে সমস্যা, হঠাৎ এক বা উভয় চোখে দেখতে অসুবিধা, হঠাৎ গুরুতর অজানা কারণে মাথাব্যথা, এবং হঠাৎ মাথা ঘোরা বা ভারসাম্য হারানো।